১. বিশ্বাস করুন, আপনি নিজেকে যা ভাবেন, আপনি তার চেয়ে অনেক বড়। প্রথমে আপনার
স্বপ্নটাকে বড় করুন। আপনি যেখানে আছেন, সেই জায়গা থেকে সর্বোচ্চ যে অবস্থানে যাওয়া
যায়, সেই জায়গাটাকে নিজের লক্ষ্য হিসেবে স্থির করুন। প্রয়োজনে আপনার
যোগ্যতা-দক্ষতা বৃদ্ধি করুন। সর্বোচ্চ অবস্থানে যাবার জন্যে যদি কোন কোর্স,
ট্রেনিং বা ডিগ্রী দরকার হয়, তাহলে দ্রুত সেটা করে ফেলুন।
২. শুধু টাকার জন্যে কাজ করবেন না। কাজের প্রতি সম্মান এবং ভালোবাসা থেকে কাজ
করুন। টাকাকে আপনি গৌণ হিসেবে দেখুন, আপনার কর্তৃপক্ষ আপনার জন্যে টাকার বিষয়টা মুখ্য
হিসেবে দেখবেন।
৩. নিজের কাজে অবহেলা তো করবেনই না; বরং সব সময় আপনার নিজের কাজের বাইরে
অতিরিক্ত কিছু কিছু কাজ করুন। এই অতিরিক্ত কাজের পরিমাণ সামান্য হলেও তা আপনার
সাফল্যের জন্যে বড় পার্থক্য তৈরি করে দেবে। দোকান থেকে কিছু কেনার সময় দোকানি যদি
ওজনে সামান্য একটু বেশি দেয়, তাহলে আপনি যেমন খুশি হন, তেমনি আপনার সামান্য একটু
অতিরিক্ত কাজে আপনার কর্তৃপক্ষ অনেক খুশি হন।
৪. আপনি এমনভাবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করবেন যেন আপনার কর্তৃপক্ষ আপনার প্রতি খুব
বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। আপনি না থাকলে অফিস যেন টালমাটাল হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ
আপনার প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়লে আপনার কদর বাড়বে, আপনাকে কীভাবে ধরে রাখা যায়,
তারা সেই চেষ্টা করবে। আপনার চাওয়া পাওয়ার মূল্য দেবে। আপনি মুখ ফুটে না বললেও
আপনার বেতনের অঙ্ক মোটা হয়ে যাবে। পক্ষান্তরে, আপনি যদি কর্তৃপক্ষকে নিজের প্রতি
নির্ভরশীল করতে না পারেন, তাহলে আপনার অবস্থান হয়ে যাবে নড়বড়ে। কর্তৃপক্ষ আপনাকে
বোঝা মনে করবে। সেক্ষেত্রে যে-কোন সময় আপনার চাকরি চলে যেতে পারে।
৫. জটিল ও কঠিন কাজগুলোর দায়িত্ব সবার আগে আপনি নিতে চেষ্টা করুন এবং সেগুলো
সফলভাবে সম্পাদন করুন। সব সময় খেয়াল রাখবেন, আপনার কাজের মান যেন
অন্যদের চেয়ে ভালো হয়। কাজে পারফেক্শান দরকার আছে, তবে পারফেক্শান আনতে গিয়ে
কাজের গতি যেন মন্থর হয়ে না পড়ে, সেদিকেও খেয়াল রাখুন। কাজ নেবার বেলায় সবার আগে
থাকবেন কিন্তু সুযোগ-সুবিধা নেবার বেলায় থাকবেন সবার পেছনে। প্রতিটি কাজ সঠিকভাবে
শেষ করে বস্কে বলুন, “আর কী কী কাজ আছে?” অর্থাৎ প্রমাণ করুন যে, আপনি একজন
কাজ-পাগল মানুষ।
৬. এমন হতে পারে যে, আপনি বর্তমানে যে চাকরিটা করছেন, সেটা আপনি স্থায়ীভাবে
করবেন না। আরেকটা ভালো চাকরি পেলে এটা ছেড়ে চলে যাবেন। এতে দোষের কিছু নেই। তবে আপনার
এই ভাবনাটা বর্তমান কাজের ওপর যেন কোন প্রভাব না ফেলে সেদিকে খেয়াল রাখুন। মনে
করবেন এটাই আপনার স্থায়ী চাকরি এবং এখানকার কাজগুলোকে সেভাবে ভালোবেসে করবেন। তা
না হলে বর্তমান কর্মস্থলে আপনার কোন রেপিউটেশান থাকবে না। ভবিষ্যতে যদি ভালো চাকরি
না পান, আর বর্তমান চাকরিতে যদি কোন রেপিউটেশান তৈরি করতে না পারেন, তাহলে আপনার
দু’কূলই হারিয়ে যেতে পারে।
৭. কখনও তর্তর্ করে উঠতে যাবেন না। ধীরে ধীরে উঠুন, তবে উঠতে থাকুন। স্লো
অ্যান্ড স্টেডি।
৮. অফিসের নোংরা রাজনীতিতে জড়াবেন না। রাজনীতি, তোষামোদ বা অয়েলিং করে ওপরে
ওঠার চেষ্টা করবেন না। এটা কাপুরুষতা। যাদের কাজ করবার মুরোদ নেই, তারাই এ পথ বেছে
নেয়। অনেক মূর্খ বস্ তোষামোদ বা অয়েলিং পছন্দ করে, কিন্তু তোষামোদকারীকে সবাই
অপছন্দ করে। মনে রাখবেন- ‘বড়লোক’ হতে পারার চেয়ে ‘বড় মানুষ’ হতে পারাটা বেশি জরুরি। নিচু মানসিকতা
পরিহার করুন। চালাক না হয়ে জ্ঞানী হতে চেষ্টা করুন। তবে হ্যাঁ, আপনার বিরুদ্ধে
ষড়যন্ত্র বা রাজনীতি করে কেউ যেন আপনার ক্ষতি করতে না পারে, সে ব্যাপারে সজাগ
থাকুন।
৯. সবার আগে অফিসে আসুন আর সবার পরে অফিস থেকে বের হতে চেষ্টা করুন। অফিসে
সবার চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হতে চেষ্টা করুন। মুখের ওপর অন্যের দোষ বা উচিত কথা বলতে
যাবেন না। কখনও অন্যের সমালোচনা বা নিন্দা করে বেড়াবেন না। এটা করলে আপনার জনপ্রিয়তায়
ধস নামবে। তর্ক করার অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করুন। কেউ যদি ছোট্ট একটা প্রশংসার
কাজও করে, তাহলে মন থেকে তার প্রশংসা করুন। আপনার অধীনে যারা কাজ করে, তাদের সাথে
দুর্ব্যবহার করবেন না। তারা যদি কোন ভুল করে, তাহলে হুমকি-ধামকি না দিয়ে মিষ্টি
করে বুঝিয়ে বলুন, হাতে ধরে শিখিয়ে দিন। সবার মেধা বা কাজ করার যোগ্যতা সমান হবে
না। যে দুর্বল, তাকে অপছন্দ করবেন না। তাকে উৎসাহ দিন। বলুন, “ভয় পাবেন না,
আত্মবিশ্বাস হারাবেন না, আপনি অবশ্যই পারবেন।” মোটকথা, অধীনদের কাছে আপনি হবেন
প্রিয় শিক্ষক আর যত্নশীল অভিভাবকের মতো। তারা যেন আপনাকে মডেল বা আদর্শ মনে করে,
তারা যেন আপনার মতো হবার স্বপ্ন দেখে। ওপরে ওঠার জন্যে ওপর থেকে টানার যেমন
গুরুত্ব আছে, তেমনি নিচে থেকে ঠেলারও গুরুত্ব আছে। মনে রাখবেন- প্রজা ছাড়া রাজার
কোন মূল্য নেই।
১০. অনেক চাকরিজীবী বলেন, “বেতন বাড়ায় না, এই জন্য ঠিক মতো কাজ করি না।” যারা
এমন কথা বলেন, তাদের কর্তৃপক্ষ বলেন, “ঠিক মতো কাজ করে না, বেতন বাড়াব কেন?” বেতন
বাড়লে তবেই ভালো করে কাজ করবেন, এই ধারণাটা ঠিক নয়। আগে ভালো করে কাজ করুন,
তারপরেই বেতন বাড়বে। তা ছাড়া বেতন বাড়ুক আর না-ই বাড়ুক, আপনি হরদম কাজ করে যান। বেতন
আপনার বাড়বেই। দু’দিন আগে অথবা দু’দিন পরে। একবার একটা গল্প
পড়েছিলাম- এক ব্যক্তি একটি কাঠের কাম্পেনিতে কাজ করে। তার দায়িত্ব হচ্ছে জঙ্গলে
গিয়ে গাছ কাটা। সে দীর্ঘদিন ওই কাম্পেনিতে কাজ করছিল। কিন্তু তার বেতন বাড়ছিল না।
এরপর হঠাৎ করে একজন নতুন লোক এসে তার মতো গাছ কাটার কাজ নিল এবং কিছুদিনের মধ্যে
ওই নতুন লোকের বেতন পুরনো লোকের চেয়ে দ্বিগুণ হয়ে গেল। পুরনো লোকটি রেগে আগুন হয়ে
তার বসের কাছে গিয়ে অভিযোগ করে বলল, “আমি এতোদিন ধরে কাজ করছি অথচ আমার বেতন বাড়ছে
না, আর সে আসতে না আসতেই তার বেতন আমার চেয়ে দ্বিগুণ হয়ে গেল! এটা আমার প্রতি
অন্যায় করা হচ্ছে।” তখন তার বস্ বললেন, “আমরা তাকে বেশি বেতন দিই না যে পুরনো,
আমরা তাকে বেশি বেতন দিই যে কাজ বেশি করে।” এবার পুরনো লোকটি বলল, “সে নতুন এসে
কীভাবে আমার চেয়ে বেশি কাজ করে?” তার বস্ বললেন, “সে কীভাবে তোমার চেয়ে বেশি কাজ
করে, সেটা আমি জানি না, তবে এটা ঠিক যে, সে তোমার চেয়ে বেশি কাজ করে। তুমি ইচ্ছে
করলে তার সাথে কথা বলে দেখতে পার।” তখন পুরনো কর্মীটি নতুন কর্মীর কাছে গেল এবং
জিজ্ঞাসা করল, “আচ্ছা, তুমি অল্প সময়ে কীভাবে বেশি কাজ কর?” নতুন কর্মী বলল, “আমি প্রতিটি
গাছ কাটার পরে আমার কুড়ালে ধার দিই আর পরবর্তী গাছটি দ্রুত কেটে ফেলি, তুমি শেষবার
কখন তোমার কুড়ালে ধার দিয়েছ?” এই প্রশ্নটি শুনে পুরনো লোকটির দৃষ্টি খুলে গেল আর
সে তার সব প্রশ্নের জবাব পেয়ে গেল। গল্পটি থেকে এই শিক্ষা পাওয়া যায় যে, শুধু কঠোর
পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকলেই চলবে না, দ্রুত গতিতে মান সম্পন্ন কাজ করার জন্যে
আপনাকে অবশ্যই ভালো ভালো টেক্নিক্ বা কৌশল প্রয়োগ করতে হবে।
১১. আপনার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন, গুরুত্বপূর্ণ
সিদ্ধান্ত নেবার আগে তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে নিন। কর্তৃপক্ষের মতামতকে
প্রাধান্য দিন। আপনি অবশ্য আনপার মতামত প্রকাশ করতে পারেন। যদি আপনার কর্তৃপক্ষ
আপনার মতামতের প্রতি আগ্রহ না দেখান, তাহলে তাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান দেখিয়ে সেই
মোতাবেক কাজ করুন। নিজের সিদ্ধান্তকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে কখনও খেয়াল-খুশি মতো
কাজ করবেন না। সেটা আপনার জন্যে আত্মঘাতী হয়ে যাবে। কারণ পৃথিবীর সকল
কর্তৃপক্ষই অনুগত কর্মকর্তা বা কর্মচারী পছন্দ করেন। আপনি যে আপনার কর্তৃপক্ষের অধীনে
কাজ করেন, এই সত্যের ওপর কখনও আঘাত হান্বেন না। সততা এবং বিশ্বস্ততা অত্যন্ত
মূল্যবান সম্পদ। যে-কোন প্রকারেই হোক, এটা রক্ষা করুন। বস্কে অয়েলিং করবেন না,
কিন্তু তাঁর প্রাপ্য সম্মানটুকু অবশ্যই দেবেন। বস্ বা কর্তৃপক্ষের সাথে একটি সু-সম্পর্ক
তৈরি করুন। এটা আপনার উপকারেই আসবে।
১২. আপনি যদি কোন কাম্পেনিতে চাকরি করেন, তাহলে কাম্পেনির উন্নতিতে বিশেষ
অবদান রাখতে চেষ্টা করুন। কীভাবে বিক্রি বাড়ানো যায় বা ব্যবসা বড় করা যায়, তা নিয়ে
গবেষণা করুন। নতুন নতুন প্ল্যান বা প্রজেক্টের আইডিয়া বের করুন এবং কর্তৃপক্ষের
সাথে তা শেয়ার করুন। যদি আপনার প্ল্যান সফল হয়, তাহলে আপনি রাতারাতি হিরো হয়ে
যাবেন।
১৩. ব্যক্তিত্ব বা মূল্যবোধ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। আপনি যে পদে আছেন
বা যে পদে যেতে চাইছেন, সে পদের সাথে আপনার ব্যক্তিত্ব মানানসই কিনা তা ভেবে
দেখুন। উঁচু পদে অধিষ্ঠিত হতে হলে আপনাকে অবশ্যই উঁচু ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন হতে হবে।
মুকুট ছাড়া সম্রাট যেমন শ্রীহীন, উঁচু ব্যক্তিত্ব ছাড়া উঁচু পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিও
তেমন শ্রীহীন। এমন ব্যক্তিত্বহীন কর্মকর্তাকে তার অধীনরা শুধুই ভয় পায়, কিন্তু
সম্মান করে না, পছন্দ করে না, ভালোও বাসে না। তারা মনে মনে গালি দেয় আর অভিসম্পাত
করে। আপনি বড় চেয়ারে বসে আছেন অথচ মানুষ আপনাকে ঘৃণা করছে। এমন বড় চেয়ার কি আপনার
কাম্য হতে পারে? নিজের কাছে উত্তর খুঁজুন। আমি মনে করি, মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান
সম্পদ হলো জনপ্রিয়তা। এই সম্পদ যদি আপনার থাকে, তাহলে আপনি যেখানে যাবেন, সেখানেই
নতুন দিগন্ত রচনা করবেন।
১৪. একটা প্রবাদ আছে, “ফলভারে বৃক্ষ নত হয়।” অর্থাৎ গাছে ফল ধরলে গাছের
ডালপালা মাটির দিকে নুয়ে পড়ে। গাছে ফল যত বেশি ধরে, গাছ তত বেশি নত হয়। কিন্তু
মানুষের বেলায় এর উল্টো। মানুষ যত বেশি সফল হয়, তার বুক তত উঁচু হয়, নাক
ফোলে, মুখ ফোলে, অহঙ্কারে মাটিতে পা পড়তে চায় না। বেশিরভাগ মানুষ হাতে ক্ষমতা পেলে
বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তারা সবকিছু ছিঁড়ে ফেলতে পারে এমন একটা ভাব। যারা এমন করে,
পরিষ্কার বাংলায় তারা নির্বোধ। তাদের মন সংকীর্ণ, জ্ঞান কম। তাই তারা নিজেদেরকে
তালগাছ মনে করে। সমাজে এ রকম মানুষের সংখ্যাই বেশি। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, দিন
শেষে ফুলের সৌন্দর্য যেমন বিলীন হয়ে যায়, তেমনি মানুষের সকল গর্ব, দর্প, অহঙ্কার
আর ক্ষমতাও এক সময় শেষ হয়ে যায়। তাই বাস্তবতার নিরিখে আপনি যত ওপরে উঠবেন, আপনাকে
তত বেশি বিনয়ী হতে হবে। কথা, কাজ বা চাল-চলনে কখনও নিজের শ্রেষ্ঠত্ব
প্রমাণ করতে যাবেন না। মুখে কখনও কৃত্রিম গাম্ভীর্য ফুটিয়ে রাখবেন না। সব সময়
থাকুন ইজি অ্যান্ড স্মাইলিং। মানুষ ঢাক-ঢোল পিটিয়ে আপনার গুণকীর্তন করুক আর আপনি
মনে মনে তা উপভোগ করুন।
১৫. ফর্মাল পোশাক পরে অফিসে যান। ইন্ফর্মাল পোশাক পরে কখনও আপনার চেয়ারটিতে
বসবেন না। আপনার গেট-আপ যেন আপনার পদমর্যাদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় সেদিকে খেয়াল
রাখুন। দেশকে ভালোবাসুন, দেশের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে সততা, নিষ্ঠা এবং
বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করুন, মনকে পবিত্র রাখুন, আপনি আপনার যোগ্যতম আসনটি অবশ্যই
পাবেন ইন্শাআল্লাহ্।
আপনার কর্মজীবন সফল হোক, আপনি সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু লাভ করুন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং বাটনগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এই ব্লগের ধারাবাহিক পোস্ট সম্পর্কে আপডেট পেতে আপনি আমার ফেসবুক পেইজে (https://www.facebook.com/ihtareq1971) লাইক দিয়ে নোটিফিকেশান অন রাখুন। এই পোস্টে ইতিবাচক মন্তব্যের জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ।