প্রিয় খোকার বাপ,
ওগো, সারা জীবন শুধু বিদেশেই কাটাইলে? এই ছিল তোমার কপালে আমার পা। আরও ফুলিয়া
উঠিয়াছে উঠানটা। জলে ডুবিয়া গিয়াছে ছোট খোকা। স্কুলে যাইতে চায় না ছাগলটা। ঘাস
খাইয়া শুধু ঝিমাইতেছে তোমার বাপ। পেটে অসুখে ভুগিতেছে বাগানটা। আমে ভরিয়া গিয়াছে
ঘরের ছাদ। স্থানে স্থানে ফুটা হইয়া গিয়াছে গাভীর পেট। দেখিয়া মনে হয়, বাচ্চা দেবে
করিমের বাপ। রোজ আধা সের দুধ দেয় বড় বউ। রান্না করিতে গিয়া হাত পুড়াইয়া ফেলিয়াছে
কুকুর ছানা। সারাদিন লেজ নাড়াইয়া খেলা করে বড় খোকা। দাড়ি কাটিতে গিয়া গাল কাটিয়া
ফেলিয়াছে নূরের মা। প্রসব বেদনায় ছট্ফট্ করিতেছে নূরের বাপ। বার বার ফিট্
হইতেছে ডাক্তার সাহেব। আসিয়া দেখিয়া গিয়াছেন।
এমতাবস্থায় তুমি অবশ্যই বাড়িতে আসিবে না। আসিলে অতিশয় দুঃখ পাইব।
-ইতি খোকার মা।
যথাস্থানে বিরাম চিহ্নের যথার্থ ব্যবহার না করলে ভাষার
পরিবর্তন হয় ভয়ঙ্করভাবে। এবার নিচে দেখুন, যথাস্থানে বিরাম চিহ্নের ব্যবহারের ফলে
কত সুন্দর অর্থবোধক হয়ে উঠেছে চিঠিটি।
প্রিয় খোকার বাপ,
ওগো, সারা জীবন শুধু বিদেশেই কাটাইলে? এই ছিল তোমার কপালে! আমার পা আরও ফুলিয়া
উঠিয়াছে। উঠানটা জলে ডুবিয়া গিয়াছে। ছোট খোকা স্কুলে যাইতে চায় না। ছাগলটা ঘাস
খাইয়া শুধু ঝিমাইতেছে। তোমার বাপ পেটে অসুখে ভুগিতেছে। বাগানটা আমে ভরিয়া গিয়াছে।
ঘরের ছাদ স্থানে স্থানে ফুটা হইয়া গিয়াছে। গাভীর পেট দেখিয়া মনে হয়, বাচ্চা দেবে।
করিমের বাপ রোজ আধা সের দুধ দেয়। বড় বউ রান্না করিতে গিয়া হাত পুড়াইয়া ফেলিয়াছে।
কুকুর ছানা সারাদিন লেজ নাড়াইয়া খেলা করে। বড় খোকা দাড়ি কাটিতে গিয়া গাল কাটিয়া
ফেলিয়াছে। নূরের মা প্রসব বেদনায় ছট্ফট্ করিতেছে। নূরের বাপ বার বার ফিট্
হইতেছে। ডাক্তার সাহেব আসিয়া দেখিয়া গিয়াছেন। এমতাবস্থায় তুমি অবশ্যই বাড়িতে আসিবে।
না আসিলে অতিশয় দুঃখ পাইব।
-ইতি খোকার মা।
নোটঃ এই চিঠিটি সংগৃহীত। শুধু বিনোদনের জন্যে এই পোস্টটি
দেয়া হলো। এর সাথে যদি কারও ব্যক্তিগত বিষয় মিলে যায়, তাহলে সেটা কাকতালীয় ঘটনা
মাত্র।
বিশেষ
দ্রষ্টব্য:
পোস্টটি
শেয়ার
করতে
চাইলে
নিচের
সোশ্যাল
মিডিয়া
শেয়ারিং
বাটনগুলো
ব্যবহার
করতে
পারেন।
এই
ব্লগের
ধারাবাহিক
পোস্ট
সম্পর্কে
আপডেট
পেতে
আপনি
আমার
ফেসবুক
পেইজে
(https://www.facebook.com/ihtareq1971) লাইক
দিয়ে
নোটিফিকেশান
অন
রাখুন।
এই পোস্টে ইতিবাচক
মন্তব্যের জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ।